বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়া শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি ব্যবসা, শিক্ষা ও ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংয়ের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যবহারকারীরা এক বড় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন—হঠাৎ করে অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যাওয়া।
কেন এত ব্যান হচ্ছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ভুয়া অ্যাকাউন্ট, ভুল তথ্য প্রচার ও সাইবার অপরাধ। এজন্য ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক কিংবা এক্স (Twitter) তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন আরও কঠোর করছে।
একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শুধু ২০২4 সালে ফেসবুক প্রায় ২ বিলিয়নের বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছে। ইউটিউব একই সময়ে লাখো ভিডিও ডিলিট করেছে যেগুলো কপিরাইট ভঙ্গ করেছিল।
কোন কারণে বেশি ব্যান হচ্ছে?
১. ভুয়া তথ্য বা ঘৃণামূলক কনটেন্ট
২. অতিরিক্ত স্প্যামিং বা ভুয়া ফলোয়ার কেনা
৩. কপিরাইট ভঙ্গ
৪. সন্দেহজনক লগইন কার্যক্রম
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে স্প্যামিং ও ভুয়া ফলোয়ার কেনার প্রবণতা।
ব্যবহারকারীদের ক্ষতি কী?
একটি ছোট ব্যবসার মালিক যখন তার ফেসবুক পেজ হারিয়ে ফেলেন, তখন গ্রাহক ও আয়ের বড় অংশ তিনি হারান। একইভাবে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইউটিউব চ্যানেল হারালে তার কয়েক বছরের পরিশ্রম মুহূর্তেই শেষ হয়ে যেতে পারে।
করণীয় কী?
✔️ সবসময় অরিজিনাল কনটেন্ট তৈরি করা
✔️ ভুয়া ফলোয়ার বা লাইক না কেনা
✔️ দুই ধাপ ভেরিফিকেশন (2FA) ব্যবহার করা
✔️ কোনো নিয়ম ভঙ্গ হলে দ্রুত আপিল করা
✔️ বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা বা ব্যাকআপ পেজ রাখা
উপসংহার
অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়ার বিষয়টি এখন আর ব্যতিক্রম নয়, বরং এটি এক সাধারণ বাস্তবতা। তবে সচেতনভাবে নিয়ম মেনে চললে এবং অরিজিনাল কনটেন্ট প্রকাশ করলে এ ধরনের সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
